অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের প্রবল ঘনবসতিপূর্ণ শহর রাফাহতে ইসরাইলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলেছে, রাফাহ শহরে ইসরাইলি আগ্রাসনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, গাজায় ইসরাইলি গণহত্যামূলক যুদ্ধ বন্ধ করতে যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চলছে তা নস্যাত করে দেয়ার জন্য রাফাহতে আগ্রাসন শুরু করেছে ইসরাইল।
মঙ্গলবার ইসরাইলি সেনারা রাফা শহরে অনুপ্রবেশ করে মিসরের সঙ্গে গাজার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিন অংশ দখল করে নেয়ার পর এক বিবৃতিতে একথা বলেন কানয়ানি। ওই ক্রসিং দখল করার মাধ্যমে গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশের প্রধান পথটি বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার সেনারা; যার ফলে গাজার ২৩ লাখ অধিবাসী নিশ্চিত অনাহার ও মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে পড়েছেন।
গাজা সীমান্তের কাছে ইসরাইলের একটি ট্যাংক
কানয়ানি এ সম্পর্কে বলেন, রাফাহ ক্রসিং দখল করে নেয়ার ঘটনা একটি দুর্বৃত্ত সরকারের চরম বর্বরতা ফুটিয়ে তুলেছে যে সরকার কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তোয়াক্কা করে না এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে তোলে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধ করার লক্ষ্যে যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চলছে তা শুধুমাত্র ইসরাইলের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক স্বার্থে ভণ্ডুল করে দেয়ার সবরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তেল আবিব।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মিসর ও গাজার মধ্যে একমাত্র সীমান্ত পথ রাফাহ ক্রসিংয়ের গাজা অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী। রাফাহ শহরের আবাসিক এলাকায় সোমবার রাতভর বিমান হামলা চালানোর পর মঙ্গলবার সকালে ইসরাইলি ট্যাংকগুলো ক্রসিংটি দখল করে নেয়।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সোমবার রাতে কাতার ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে পেশ করা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার পরও তেল আবিব বলেছে যে, তারা রাফাহ শহরে অভিযান চালিয়ে যাবে।
Leave a Reply